

নুরে আলম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) প্রতিনিধি:
বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ভূতেরদিয়া চৌকিদার বাড়ি সংলগ্ন ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজের আগ মুহূর্তে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় পলাশ হোসেন জানান, রমজান মাসসহ প্রায় এক বছরের ওপরে মসজিদের ইমামের বেতন দেয়নি ইউসুফ হোসেন। এর জেরে রমজান মাসে ইব্রাহিম বলেছিলেন যেহেতু ইউসুফ হোসেন ইমামের বেতন দিচ্ছেন না, আমরা মুসল্লীরা রমজানে ইউসুফের দেয়া ইফতারি খাবো না।
পিছনের এই ঘটনা কেন্দ্র করে নামাজ শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে ঈদগাহে উপস্থিত মুসল্লিদের উপস্থিতিতে ইউসুফ হোসেন বলেন, “মসজিদে আমাদের দেয়া ইফতার কেন খাননি?”। এর জবাব চাইলে স্থানীয় বেল্লাল হোসেন বিষয়টি নামাজের পরে সমাধানের কথা বললে ইব্রাহিম বেল্লালের জামা ধরে টান দিলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এবং দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া মারামারি শুরু হয়।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে স্থানীয়রা ৯৯৯-এ ফোন করলে বাবুগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে রয়েছেন ইউসুফ (৪৫), মিজান (৪০), বেল্লাল (৩৫), স্বাধীন (১৮), করিম (২৫) সহ আটজন এবং অপর পক্ষের ইব্রাহিম (৪৫), জুয়েল (৪০), মজিবর (৫৫), জাফর (৩৫), রুবেল (৩৮) সহ প্রায় ২০ জন। আহতদের স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাবুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং উজিরপুর হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সংঘর্ষের জেরে ঈদের নামাজ পরিচালনাকারী ইমাম ঈদগাঁ ত্যাগ করলে মুসল্লিরা নামাজ আদায় না করেই বাড়ি ফিরে যান।
এ ঘটনায় স্থানীয় মুসল্লিরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা অভিযোগ করেছেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে, যার ফলে তারা পবিত্র ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করতে পারেননি। তারা ঘটনার সাথে জড়িতদের দৃষ্টান্ত মূলত শাস্তি দাবি করছেন।
বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আমিনুল ইসলাম জানান, ইফতারের বিষয় নিয়ে আলোচনা চলাকালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আনুমানিক ২০ জন আহত হয়েছে। বেশিরভাগই মাথায় আঘাত পেয়েছে।