মোঃ ওয়াজেদ আলী, সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ

ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা।

উক্ত ইউনিয়নটি পদ্মা ও আঁড়িয়াল খাঁ নদীর কোলে দুর্গম চরে অবস্হিত। চরাঞ্চলের মানুষের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের জীবন যাত্রার মান  উন্নত করতে যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহন পূর্বক গতকাল ১১ এপ্রিল ২০২৫ তারিখে ৩ নং নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিদর্শন করেন সদরপুর উপজেলার দক্ষ, চৌকস ও পরিশ্রমী উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা। ইউনিয়নটি পরিদর্শন পূর্বক তিনি বিভিন্ন জনসেবা ও জনগুরুত্বপুর্ন কাজ সম্পাদন করেন।

চরাঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রা খুবই দুঃসাধ্য ও কষ্টকর। এখানকার বিদ্যালয় গুলো খুবই জরাজীর্ণ এবং শিক্ষার্থীদের সারাবছর ঝড়বৃষ্টিতে ভিজে না হয় খরার তপ্তময় রৌদ্রে পুড়ে বিদ্যালয়ে যাতায়াত করতে হয়।

তিনি নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন এর প্রথম মাধ্যমিক বিদ্যালয় (নির্মাণ প্রায় সম্পন্ন) "উপজেলা প্রশাসন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, নারিকেলবাড়িয়া" পরিদর্শন করেন এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে স্মৃতি স্বরূপ একটি বৃক্ষরোপন করেন।

 এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য সম্মানিত জমিদাতাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় অসামান্য অবদান রাখার জন্য  পূর্ববর্তী সম্মানিত ইউএনও গণকে ধন্যবাদ জানান। এছাড়াও নারিকেলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের সম্মানিত চেয়ারম্যান কে বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখার জন্য তিনি বিশেষ ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উক্ত ইউনিয়নের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন সহ উক্ত ইউনিয়নের মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন সদরপুর অফিসার ইনচার্জ মোঃ আঃ মোতালেব , নারিকেল বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ নাছির উদ্দিন সরদার সহ ইউপি সদস্যবৃন্দ ও স্হানীয় বিভিন্ন গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

সদরপুরের মানুষের অধিকার আদায় ও জনসেবা নিশ্চিত করতে তিনি দিনরাত কাজ করছেন।

বিগত প্রায় ২০ বছর আগের অবৈধ দখলদারের কবল থেকে রক্ষায় তিনি একাধিক বার সদরপুরের বিভিন্ন হাটবাজার সহ খেলাধুলার মাঠে অভিযান চালিয়েছেন।

যানযট নিরসনে  মাঝে মাঝেই অভিযান পরিচালনা করেন ফিটনেস বিহীন গাড়ী ও অন্যান্য কাগজ পত্রের ব্যাপারে।

বালু মহালের প্রতি তিনি আপোষহীন। আঁড়িয়াল খাঁ নদী থেকে যখন অবৈধ বালু ব্যবসায়ীরা ফসলী জমির টপ সয়েল কেটে কৃষকের ক্ষতি করার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলো তিনি বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যমে জেল জরিমানা সহ বালুর গাড়ী চলার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।

মা ইলিশ সহ বিভিন্ন প্রকার অবাধ মাছ শিকারে তিনি বিভিন্ন সময় অভিযানের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করেছেন।

তার এ সকল কর্মকান্ডে ও যুগান্তকারী পদক্ষেপে খুশী সদরপুরের সর্বস্তরের জনগণ।

এ ব্যপারে সদরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা বলেন আমি জনগনের সেবার মান নিশ্চিত করার চেষ্টা করছি। সদরপুরকে তিনি দুর্নীতি মুক্ত একটি মডেল উপজেলা হিসেবে উপহার দিতে চান। তিনি আরও বলেন সকলের সহযোগীতায় অন্যায়কে প্রতিরোধ করা ও ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব। এ ব্যপারে  সর্বস্তরের জনগনের সাহায্য তার সাথে থাকবে বলেও তিনি আশাবাদী।