

মহিবউল্লাহ কিরন, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীর কড়াইবাড়িয়া বাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান ও ১৩টি বসতঘর সম্পূর্ণরূপে ভস্মীভূত হয়েছে। এ ঘটনায় আরও ১৫টি দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার ফলে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রোববার দিবাগত ১৪/৪/২৫ রাত সাড়ে ১২টার দিকে তালতলীর কড়াইবাড়িয়া বাজারে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা যানায়, রাতের অন্ধকারে হঠাৎ করে একটি পেট্রোলের দোকান থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে, মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারপাশের দোকান ও বসতঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয়রা দ্রুত তালতলী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে পানি না থাকায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হন। পরবর্তীতে পাশের ডোবা থেকে পানি দেওয়ার চেষ্টা করা হলেও মেশিনে ফুয়েল না থাকায় সেটিও কার্যকর হয়নি। পরে আমতলী ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। তারা ঘটনাস্থলে এসে প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। কিন্তু ততক্ষণে ২৫টি দোকান এবং ১৩টি বসতঘর পুড়ে যায়।
এ ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ অন্তত ৪ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেছেন যে, তালতলী ফায়ার সার্ভিসের অপেশাদারিত্বের কারণে ক্ষতির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একজন স্থানীয়বাসী মন্তব্য করেন, ‘ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের গাফেলতির কারণে এমন অবস্থা হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা যদি নিজেরা সবসময় প্রস্তুত না থাকেন, তাহলে কি করে চলবে। এই দায় ফায়ার সার্ভিসের নিতে হবে।’
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানও এ ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘কড়াইবাড়িয়া বাজারে এর আগে কখনো অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেনি। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অন্তত ৪ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। কমপক্ষে ২৫ জন ব্যবসায়ী পথে বসে গেছেন। তালতলী ফায়ার সার্ভিস যদি ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিভানোর কাজ শুরু করতে পারতেন, তাহলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেক কম হতো।’
এ বিষয়ে তালতলী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।