

মহিবউল্লাহ কিরন, বরগুনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বরগুনার তালতলীতে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় সড়ক নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে।
বিষয়টি উপজেলা প্রকৌশলীকে জানানো হলেও তিনি কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ঝাড়ু মিছিল করেছে স্থানীয়রা। পরে তারা ঝাড়ু মিছিল শেষ করে কাজ বন্ধ করে দেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল ২৫) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
তালতলী উপজেলা প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া পর্যন্ত ১১০০ মিটার সড়ক নির্মাণে দরপত্র আহবান করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী,দরপত্রে অংশগ্রহন করে কাজটি পেয়েছে মেসার্স এনামুল এন্টারপ্রাইজ নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকারদারী প্রতিষ্ঠানকে কাজে ব্যয় ধরা হয় ১ কোটি ২১ লাখ ৯২ হাজার টাকা।
জানা গেছে, মালিপাড়া থেকে নয়াপাড়া সড়কের নির্মাণকাজ এলজিইডি’র আওতায় চলছিলো। এ কাজের তদারকির দায়িত্ব উপজেলা প্রকৌশলীর। তবে সড়ক নির্মাণ কাজটিতে নিম্নমানের ইট ব্যবহার করে কাজ চলতে থাকে। এসময় স্থানীয় বাসিন্দারা কাজে অনিয়মের বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। পরে তারা নিম্মমানের কাজ বন্ধের দাবীতে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ করে দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা কাওসার হামিদ, রাসেল মৃধা, আলমাস খলিফা, জাহাঙ্গীর মিয়া বলেন, ‘সড়কে একদম নিম্ন মানের ইট দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ চলছিলো। ব্যবহারিত ইট হাত দিয়েই ভাঙা যাচ্ছে। এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানালে তিনি কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
তাই আমরা প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝাড়ু মিছিল দিয়ে কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। প্রকৌশলীকে ‘ম্যানেজ’ করে ঠিকাদার দায়সারা ভাবে সড়কের কাজ করছে।
মেসার্স এনামুল এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী এনামুল এর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
তালতলী উপজেলা প্রকৌশলী মো. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সামান্য কিছু ইট খারাপ ছিলো। সেগুলো বাছাই করে আলাদা রাখা হয়েছে এবং সরিয়ে ফেলতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) উম্মে সালমা বলেন, স্থানীয় বাসিন্দারা আমার কাছে অভিযোগ করছে। প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়ে ইটের গুণগত মান যাচাই করতে বলা হয়েছে। মানসম্মত ইট না হলে কাজ বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে এবং নতুন করে মানসম্মত ইট দিয়ে কাজ শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।