

অন্তু দাস (হৃদয়), টাঙ্গাইল থেকে :
টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় কবিতা বেগম (২৭) নামে এক গার্মেন্ট কর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেছে স্বামী সুজন মিয়া। স্ত্রীকে হত্যার পর নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় তিনি। পরে এক পর্যায়ে তিনি পালিয়ে যান।
গত বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে মির্জাপুর উপজেলার গোড়াই ইউনিয়নের সোহাগপুর এলাকার একটি ভাড়া বাসায় এই ঘটনাটি ঘটে। পরে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে নিহত কবিতার বাবা কদম আলী সরদার মেয়ের স্বামী সুজন মিয়াকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।
মামলার প্রায় ২ ঘণ্টা পর মির্জাপুর উপজেলার দেওহাটা বাজার থেকে পুলিশ সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করেন। গত ১ যুগ (১২ বছর) আগে নীলফামারী সদরের খোকশা বাড়ী ইউনিয়নের মাঝপাড়া কলোনী এলাকার কদম আলী সরদারের মেয়ে কবিতার সঙ্গে মাঝাডাঙ্গা শিঙ্গিমারি গ্রামের আলিম উদ্দিনের ছেলে সুজন মিয়ার বিয়ে হয়। সুজন ও কবিতার ঘরে ১ টি ছেলে ও ১ টি মেয়ে রয়েছে।
নিহত কবিতা মির্জাপুরের গোড়াই এলাকার একটি গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। আর স্বামী সুজন রিকশার গ্যারেজে মিস্ত্রীর কাজ করতেন বলে পুলিশ জানিয়েছেন। স্ত্রীকে হত্যার পর সুজন গা ঢাকা দেন।
পুলিশ আরো জানায়, কবিতা ও সুজন মির্জাপুর উপজেলার সোহাগপুর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। কবিতা হামিম গ্রুপের এক্সফ্লোর গার্মেন্টসে সুয়িং অপারেটর হিসেবে চাকরি করতেন। আর সুজন মিয়া একটি অটোরিকশার গ্যারেজে মিস্ত্রির কাজ করতেন। গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। এ সময় সুজন বটি দিয়ে কুপিয়ে কবিতাকে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পরে, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে কবিতার মরদেহ উদ্ধার করে। ময়না তদন্ত জন্য টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়। ময়না তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ দিকে, মামলার ২ ঘণ্টা পর উপজেলার দেওহাটা বাজার থেকে নিহত কবিতার স্বামী সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে মির্জাপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মাদ রাশেদুল ইসলাম জানান, কবিতার মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং নিহতের স্বামী সুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সুজন স্ত্রীকে হত্যা করে পরে নিজের গলায় ছুরি দিয়ে আঘাত করে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায়। এ জন্য সুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।