
শামীম আহমেদ পাবনা জেলা প্রতিনিধি:
পাবনার বেড়া উপজেলার কৈটোলার মানিকনগর গ্রামের মিন্টু মোল্লার ছেলে নাজমুল (১৮) গত ২৬ জুন বিকেল ৪ টার দিকে বাথরুমে গিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ অন্ডকোষ বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। জানাযায় নাজমুল পেশায় একজন এক্সকেবেটর চালক। এর আগে তিন বছর আগে ঢাকা গাজিপুর কবরস্থানে পুকুর কাটতে যান সেখান থেকে দূড়ঘটনায় আঘাতের কারনে বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হয়ে যান। এরপর পাবনা মানষিক হাসপাতালের চিকিৎসক মোহাম্মদ আলীর ওষুধ সেবন করেন। তারপরও তার মানষিক রোগ এর সমাধান হয়নি। কিন্তু তার পরিবার এর সবাই ভাবে হয়তো বিয়ে দিলে মানষিক যন্ত্রণার সমাধান হবে। এরপর তার কিছু বন্ধু ও পরিবার তাকে হিজরা বলে আখ্যায়িত করেন। পরিবারের যন্ত্রণা ও মানষিক সমস্যা পরিবারের চাপে নিজেকে সামলাতে না পেরে বাজার থেকে ব্রেলেড এনে বাথরুমে গিয়ে ব্রেলেড দিয়ে নিজের পুরুষাঙ্গ কেটে দেহ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে। তারপর চিৎকার করলে পরিবার ও এলাকাবাসী তার পরিণতি দেখতে পায়।
পরবর্তীতে পরিবার তাকে প্রথমে বেড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান কিন্তু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ কালক্ষেপণ এর জন্য অন্ডকোষ একদম বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় তা আর অপারেশন করে জোড়া লাগানো সম্ভব হয়নি।
নাজমুল এর মা বলেন – আমার ছেলে একজন বুদ্ধি প্রতিবন্ধি হওয়ায় সে কোন কাজ করতো না আমাদের পরিবার খুব একটা অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী নয়।ঘটনা র দিকে কিছুটা রাগারাগি হয়। সকলে আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ হয়।
উল্লেখ্য নাজমুল এই মুহুর্তে পাবনা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে।