
সদরপুর থেকে নুরুল ইসলাম :
ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার আকোটেরচর ইউনিয়নের আলীমদ্দিনের ডাঙ্গী গ্রামে এক বিধবার বসতভিটার ১০টি মূল্যবান গাছ জোরপূর্বক কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আপন দেবরের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে মৃত মোজাম বেপারীর স্ত্রী হালিমা বেগম (৫৫) এর বসতভিটার ৭টি মেহগনি গাছ, ২টি আমগাছ এবং ১টি বেলগাছ কেটে নেয় তার দেবর হারুন বেপারী (৪১)। স্থানীয় মৃত বাদশা বেপারীর ছেলে হারুন বেপারী কিছু সহযোগীকে সঙ্গে নিয়ে এ ঘটনা ঘটান বলে অভিযোগ করেন বিধবা হালিমা বেগম। গাছগুলোর বাজারমূল্য আনুমানিক ৫০ হাজার টাকা।
হালিমা বেগম জানান, তিনি এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে প্রতিবাদ করলেও তাকে গৃহবন্দী করে রাখে অভিযুক্তরা। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দিয়েও গাছ কেটে নেওয়া হয় বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সদরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী বিধবা। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোখলেছুর রহমান বলেন, “টানা বৃষ্টির কারণে এখনো ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে অভিযুক্ত হারুন বেপারীর সঙ্গে মুঠোফোনে কথা হয়েছে, সে গাছ কাটার বিষয়টি স্বীকার করেছে। বিধবার অসহায়ত্বের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাকে পূর্ণ আইনি সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা করা হবে।”
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হারুন বেপারী বলেন, “আমার দাদীর আফছা স্বত্ব রয়েছে, সেই সূত্রে আমরা জমির অধিকার দাবি করি। তাই গাছগুলো কেটেছি।”
প্রসঙ্গত, ১৫ বছর আগে স্বামী মারা যাওয়ার পর এক কন্যা ও দুই পুত্র রেখে একাই বসবাস করে আসছেন বিধবা হালিমা বেগম। তার দুই ছেলে বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন এবং কন্যার বিয়ে হয়ে গেছে। একাকীত্ব এবং অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে দেবর তার জায়গা দখলের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।