
মো: মামুন মিয়া, শেরপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
“কৃষিই সমৃদ্ধি” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে শেরপুরের নকলায় ২০২৫-২৬ অর্থ বছরে কৃষি পূনর্বাসন সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত অর্থ হতে রবি মৌসুমে গম, সরিষা, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ ও মসুর ফসলের আবাদ এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য প্রণোদনা কর্মসূচীর আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা প্রশাসক শেরপুর তরফদার মাহমুদুর রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপপরিচালক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর খামারবাড়ি শেরপুরের কৃষিবিদ মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী।
এ সময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি), বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আলহাজ্ব খোরশেদ আলমে সহ কৃষক কৃষাণী ও সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকাল ১১.৩০ টায় উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা কৃষি অফিসারের কার্যালয়ের আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তরফদার মাহমুদুর রহমান বলেন, সার, বীজ যার বেশি প্রয়োজন সে যেন পায়। আপনারা সাংবাদিকরাও তা পর্যবেক্ষণ করবেন। বীজ সার ব্যবহারে কৃষককে সর্বোচ্চ সহযোগীতা করার পরামর্শ দেন কৃষি বিভাগকে। ডিলারের অনিয়ম দেখা মাত্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। কেউ কোন অনিয়মের সাথে জড়িত থাকলে তাদের তথ্য দিবেন প্রশাসনকে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, যদি কোন কৃষককে সরকারি সার ও বীজ বিক্রির সাথে জড়িত পাওয়া যায় তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্বাগত বক্তব্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার মুরসালিন মেহেদী বলেন, কৃষি প্রণোদনার অংশ হিসেবে তিন হাজার তিনশত ষাটজন কৃষককে জনপ্রতি এক কেজি সরিষা বীজ, দশ কেজি ডিএপি সার এবং দশ কেজি এমওপি সার প্রদান করা হচ্ছে। আপনারা কৃষকরা বীজ এবং সারের সঠিক প্রয়োগ করছেন কিনা তা মাঠে পরিদর্শন করা হবে। যদি কোন কৃষক মাঠে বীজ না ফলিয়ে বিক্রি করেন এমন প্রমান পেলে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

এর আগে উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যাক্তি, পরিবার, প্রতিষ্ঠানের মাঝে গৃহ নির্মাণ সহায়তা বাবদ বাইশ জনকে, জনপ্রতি দুই বাণ করে ঢেউটিন ও ছয় হাজার টাকার চেক বিতরণ করেন জেলাপ্রশাসক।