

সদরপুর (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সদরপুরে রবিবার সকালে মৎস্য অধিদপ্তরের তত্বাবধানে জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থানে বাছুর বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা প্রকল্পের আওতায় জেলেদের বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে এ বকনা বাছুর বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় একাধিক জেলেরা এ অভিযোগ করেন।
তারা জানান, বিতরণ করা বাছুরগুলো অত্যন্ত রুগ্ন ও দুর্বল, যা লালন-পালনে অতিরিক্ত খরচ ও সময় লাগবে। এছাড়াও ইলিশজেলে না এমন ব্যক্তিদেরও এসব বাছুর দেয়া হয়েছে। তাদের দাবি, প্রকল্পের প্রতিটি বাছুরের জন্য ৩০ হাজার টাকা বরাদ্দ হলেও সরবরাহকৃত বাছুরগুলোর বাজারমূল্য অর্ধেকেরও কম। রোগাক্রান্ত বাছুর এই বর্ষা মৌসুমে কিভাবে বাঁচিয়ে রাখা খুবই কষ্টসাধ্য হবে।
বিষয়টি নিয়ে সদরপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেহেদি হাসান বলেন, এ বাছুরগুলো ঠিকাদারের মাধ্যমে আনা হয়েছে। মূলত ঈদের সময় বাজেটের মধ্যে এর থেকে ভালো বাছুর পাওয়া যায় না। কিছু কিছু বাছুর নিয়ে আমাদের মন খারাপের পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাকিয়া সুলতানা।